শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
বরিশাল অফিস ঃ বরিশাল বিভাগের অগ্নিদ্বগ্ন পোড়া ,ছোট বড় প্লাস্টিক সার্জারি জনিত চিকিৎসার একমাত্র চিকিৎসার ভরসার স্থাল শেবাচিম হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি ও বার্ন ইউনিট। কিন্তু চিকিৎসা ব্যবস্থা দূরহ। এই বিভাগে ১০ জন চিকিৎসক ও ১৬ জন সেবক সেবিকা থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১ জন চিকিৎসক ও ২ জন সেবক সেবিকা। চিকিৎসক যে আছেন সে ৩দিন থাকে ঢাকায় এবং ৩ দিন থাকে বরিশালে । ঐ চিকিৎসক যে ৩ দিন বরিশালে থাকেন একদিন ব্যস্ত সময় কাটায় প্রাইভেট চিকিৎসা নিয়ে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অগ্নিদ্বগ্নে পুড়িয়া কিংম্বা প্লাস্টিক সার্জারী জনিত কারনে শেবাচিম হাসাপাতালের এই বিভাগের চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না ।
প্লাস্টিক সার্জারী ও বার্ন ইউনিট থেকে চিকিৎসা না পাওয়া গেলে কোথায় চিকিৎসা নেন এমন প্রশ্নের উওরে ভুক্তভোগীরা জানান বাহিরে বরিশাল কর্মরত চিকিৎসকের সরনাপন্ন হতে হয়। এছাড়াও ঢাকায় গিয়ে লাখ লাখ টাকা দিয়ে বেসরকারী হাসপাতলে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। ভুক্তিভোগীরা আরাও অভিযোগ করেন পোড়া কিংম্বা প্লাস্টিক সার্জারি জনিত কারনে শেবাচিম বার্ন ইউনিটে ভর্তি জন্য গেলে কর্তব্যরতরা ভর্তি না নিয়ে পাঠিয়ে দেন। আর সেই সাথে চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরতরা এই বিভাগের চিকিৎসক এম.এ আজাদ তার ব্যক্তিগত চেম্বার রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক বাকির হোসেন জানান চিকিৎসার জন্য এই বিভাগে প্রয়োজনীয় সব ধরনের যন্ত্র আছে । তবে এই বিভাগে চিকিৎসক সহ জনবলের সংকট আছে বলে তিনি জানান সংকট পূরন ও সেবা নিশ্চিত করতে ঢাকায় চিঠি দিয়েছেন। শেবাচিম হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে জানাগেজে এই বিভাগে ১৬ শয্য বিশিষ্ঠ বিভাগ।
এই বিভাগে একজন অধ্যাপক সহযোগী অধ্যাপক ২ জন সহকারী অধ্যাপক ২ জন , সহকারী অধ্যাপক ২ জন, রেজিস্টার ২ জন ,সহকারী রেজিস্টার ২ জন ও ১৬ জন অনন্য কর্মকর্তা থাকার কথা । কিন্তু সহকারী অধ্যাপক এম.এ আজাদ ও ২ জন ইন্টারী চিকিৎসক ২ জন এবং সেবক ও সেবিকা ২ জন রয়েছে ।
উল্লেখ্য ২০১৫ সনের ১১ ফেব্রুয়ারী বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এই বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগ উদ্ভোধন করা হয়। এর আগে এই বিভাগ না থাকায় অগ্নিদ্বগ্ন পোড়া রোগী সার্জারী বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হতো।
Leave a Reply